

রাজশাহীর বাগমারায় জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাগমারা উপজেলা শাখার উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য গণমিছিল ও পথসভার আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে ভবানীগঞ্জের গোডাউন মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ভবানীগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় গোডাউন মোড়ে এসে পথসভায় মিলিত হয়।পথসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের আমীর মাস্টার কামরুজ্জামান হারুন এবং সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ওহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের নায়েবে আমীর ও বাগমারা আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. মো. আব্দুল বারী।বক্তব্যে ডা. বারী বলেন, “গত বছর এই দিনে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছিল। এক বছর পার হলেও বৈষম্যের অবসান ঘটেনি। এখনও চাঁদাবাজি চলছে, সন্ত্রাস চলছে, খুন ও ধর্ষণ হচ্ছে। যারা এসব করছে তারা দেশের শত্রু, মানবতার শত্রু। তাদের প্রতিহত করতে হবে।”প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, “গত বছর এই দিনে ভবানীগঞ্জসহ বাগমারার বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া ও গুলি বর্ষণ করা হয়েছিল। সেই অস্ত্রগুলো কোথায়? কেন এখনও উদ্ধার করা হলো না? দ্রুত এসব অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।”তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমাদের দেশ পরিচালনার সুযোগ দিলে কোন আমানতের খেয়ানত হবে না। কেউ নির্যাতনের শিকার হবে না। প্রত্যেকে তার ন্যায্য অধিকার ঘরে বসেই পাবে—ইনশাআল্লাহ।”পথসভায় আরো বক্তব্য রাখেন,জামায়াতের রাজশাহী জেলা শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাস্টার আব্দুল আহাদ কবিরাজ, গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মজিদ খান, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার আমীর আশরাফুল ইসলাম আশিক, তাহেরপুর পৌর আমীর অধ্যাপক শহিদুজ্জামান মীর, বাসুপাড়া ইউনিয়নের আমীর অধ্যাপক আতাউর রহমান, ছাত্রশিবিরের বাগমারা উপজেলা পূর্ব শাখার সভাপতি হাফেজ শফিকুল ইসলাম খান, তাহেরপুর মডেল থানা সভাপতি মারুফ আহমেদ। জামায়াত নেতৃবৃন্দ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা অবস্থা এবং জনগণের অধিকার আদায়ের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, দেশের শান্তি ও ন্যায়ভিত্তিক শাসন প্রতিষ্ঠায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
